তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে দু-দিনের NIA হেফাজত দিল কলকাতার বিশেষ আদালত। রবিবার এই রায় দেওয়া হয়েছে। এদিন NIA-এর পক্ষ থেকে আদালতে ছত্রধরের ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল।
শনিবার জঙ্গলমহলে প্রথম দফার ভোট মিটতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। শনিবার দীর্ঘ ১১ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। শনিবার ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন ছত্রধর মাহাতো। ভোট দিয়ে ছত্রধর বলেন যে, ‘ঝাড়গ্রাম শুধু নয়, ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করবে। শনিবার থেকে খেলা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই খেলা চলবে। খেলার নাম হল উন্নয়ন। উন্নয়নের খেলা বাংলায় আরও জোর কদমে শুরু হবে।’এরপর রবিবার ভোরেই তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন এনআইএ-র অফিসাররা।
২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের আঙুল ওঠে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। ১৬, ১৮ এবং ২২ মার্চ তাঁকে NIA-এর পক্ষ থেকে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ বারবার বলার পরও তিনি হাজিরা দেননি। প্রথমে অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপর ভোটের কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দেখান ছত্রধর। বারবার বলা সত্ত্বেও উপস্থিত না হওয়ায় আদালতের নির্দেশ মতো রবিবার সকালে লালগড়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ৪০ জনের একটি দল গিয়েছিল। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে