বুধবার বিজেপি বিধায়কের বাড়ি যান তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন । বেশ কিছুক্ষণ মিহিরের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর থেকেই মিহিরের শাসক দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে বিধায়কও হয়েছেন। এবার সেই মিহির গোস্বামীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
তৃণমূল রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর গত পাঁচমাসে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে মুকুল রায় , তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস, সৌমেন রায়ের মতো বিধায়কের। দিন কয়েক আগে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন। তাঁরও দ্রুতই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে আজ মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের উপস্থিতি নতুন জল্পনার জন্ম দিল।
যদিও, এই বৈঠককে নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছে দু’পক্ষই। মিহিরের সঙ্গে দেখা করার পর গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “আমরা দীর্ঘদিনের সহকর্মী। মিহিরদা আমার কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। দলের জেলা সভাপতি হওয়ার পর আসতে পারিনি। তাঁর পরামর্শ ও আশীর্বাদ নিতে এসেছি।” মিহিরবাবুর বক্তব্যও একই রকম। তিনি বলছেন, তৃণমূল জেলা সভাপতি আমার সঙ্গে শুধুই দেখা করতে এসেছিলেন। কোনও রাজনীতির কথা বলতে নয়। এর মধ্যে সৌজন্য ছাড়া আর কিছুই নেই। এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাধিপতি মালতী রাভা রায় জানিয়েছেন, “ওঁরা পুরনো বন্ধু। মিহিরদা আজই কলকাতা থেকে ফিরেছেন। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।”