তিনি যে ঘরে কে তা জানত! নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর খোঁজ পাওয়া গেল চিতাবাঘটির। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানার ভিতরেই জঙ্গলেই ঘুমিয়েছিল ছিল চিতাবাঘটি। অর্থাৎ, যে চিতাবাঘের আতংকে পুরো ঝাড়গ্রাম শহর ত্রস্ত হয়ে গিয়েছিল, সে আদতে বেশি দূরে পালাতেই পারেনি!
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের ‘মিনি জু’-এ নিজের খাঁচা থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি। এর জেরে সন্ধ্যা থেকে আতংক ছড়ায় ঝাড়গ্রাম শহরে। বন দফতর এবং পুলিশের তরফে ঝাড়গ্রাম শহরে জুড়ে তল্লাশি চালানো হয়।
টানা ১৭ ঘন্টা তিনি ছিলেন নিখোঁজ। আর তার নিখোঁজ হওয়ার জেরেই রাতভর দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি ঝাড়গ্রামবাসী। পাছে যদি ঘুমের মধ্যেই সে ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ভয়ে ভয়ে কার্যত রাত কাটিয়েছে ঝাড়গ্রাম শহর আর তার আশেপাশের গ্রামের মানুষেরা। শেষে জানা গেল, যাকে ঘিরে এত উদ্বেগ, এত ভয়, এত দুশ্চিন্তা, সেই তিনি কিনা নিজের ঘরেতেই ঘুমাচ্ছেন নাকটি ডেকে। আর এমন জায়গায় গিয়ে তিনি ঘুমাচ্ছেন যে চট করে কারও নজর পড়া ভার। আর তার জেরেই পড়েছিল রব, ‘হর্ষিণী হয়েছে নিখোঁজ’। নাহ এই হর্ষিণী কোনও সুন্দরী রমণী নন যে নিখোঁজ হয়ে সকলের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এই হর্ষিণী এক চিতাবাঘ। যার আছে দুইখানি শাবক। সেই শাবকদের খাঁচায় রেখেই তিনি হয়েছিলেন নিখোঁজ। আর তার জেরেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে। কেননা হর্ষিণী নিখোঁজ হয়েছিল ঝাড়গ্রাম মিনি জু থেকে। এদিন সেই মিনি জু’তেই তাঁর খাঁচার অন্দরে সন্ধান মিলেছে তার। আর তাতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন ঝাড়গ্রাম মিনি জু কর্তৃপক্ষের আধিকারিক থেকে বনদফতরের কর্তারা।