সাতসকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ঝুপড়িতে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দমকলকে খবর দেন এবং ঝুপড়িতে বসবাসকারী সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকলের দশটি ইঞ্জিন আসে। প্রসঙ্গত, সেই সময় ঝুপড়ির ঘরগুলিতে সবাই উপস্থিত ছিলেন। সবাই সজাগ থাকায় দ্রুত সবাই ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিধাননগর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় সবাইকে নিরাপদে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। ৮০ টি ঝুপড়ির মধ্যে ৬০ টি ঝুপড়ি এবং ৫০ টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে যান দমকলের আধিকারিকরা এবং পুলিশ কর্মীরা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রথমে আগুন নেভাতে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। আগুন লেগেছে দেখতে পেয়ে তত্ক্ষণাত্ সেই সময়ে রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে ঝুপড়িবাসীর সঙ্গে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলবাহিনী এসে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকেন। আপাতত আগুন নেবানোর কাজ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন দলকলবাহিনীর আধিকারিকরা। হঠাত্ করে সকালে সেন্ট্রাল পার্কের কাছের ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে সাময়িক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাতেও।
তবে দমকলবাহিনী এবং পুলিশের তত্পরতায় গোটা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঝুপড়িবাসীর পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিদায়ী সরকারের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে কী থেকে এই আগুন লাগল তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানান পুলিশ কর্তারা এবং দমকলের আধিকারিকরা।