‘আগামী দিনে বিজেপিতে আরও বড় ভাঙন হতে চলেছে। জাতীয় স্তরের এক নেতা যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। বিজেপির কেউ ভাবতেও পারবে না তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন।’ বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে বেড়িয়ে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে তিনি এদিন এটাও দাবি করেছেন, ‘লাইনে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন। অনেক বিধায়কই তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন’ ফিরহাদের এই দাবির জেরে এখন বাংলা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় স্তরের বিজেপির কোন নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তা নিয়েই এখন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ফিরহাদের এই মন্তব্য রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে বিজেপিকে চিন্তায় রাখবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায় , বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতা। বেশ কয়েকজন বিধায়কও ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আরও কয়েকজনের শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সুতরাং ফিরহাদের দাবিকে একেবারে অমূলক বলে উড়িয়েও দিতে পারছে না বিজেপি। বিশেষ করে রাজ্য সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার পর, একশ্রেণির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। আবার জাতীয় স্তরেও তৃণমূল নেতারা অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যা আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের।