সারা মাসের বরাদ্দ চাল একসঙ্গেই পাবেন রেশন গ্রাহকরা। এমনটাই জানিয়েছে খাদ্য দফতর। তবে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা যে গ্রাহকরা গমের বদলে আটা পান, তাঁদের তা দু’ দফায় দেওয়া হবে। গমও একমাসেরটা একসঙ্গেই দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্ত্যোদয় গ্রাহকদের পরিবার পিছু মাসে বরাদ্দ ১৫ কেজি চাল ও ২০ কেজি গম বা আটা। ওই প্রকল্পের আওতায় থাকা পিএইচএইচ এবং এসপিএইচএইচ শ্রেণীর গ্রাহকদের মাসে স্বাভাবিক বরাদ্দ মাথাপিছু দু’কেজি চাল ও তিন কেজি গম বা আটা।
খাদ্য দফতর জানিয়েছে, মে মাসে ২৫ তারিখ ঈদের ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই রেশন দোকান সকাল ৮ থেকে বেলা ১২টা ও দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রমজানের জন্য অবশ্য মুসলিম রেশন ডিলাররা বিকেলের দিকে ৫টা পর্যন্ত দোকান চালাবেন। প্রথমার্ধে তাঁদের অবশ্য বেলা ১টা পর্যন্ত দোকান চালাতে হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ড বা ফুড কুপন থাকলে রেশন তো মিলবেই, কিন্তু কোনও গরিব মানুষের তা না থাকলে তাঁকে জেনারেল রিলিফ খাতে চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুষ্ঠুভাবে রেশন বিলির ব্যাপারে খাদ্য দফতর জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে। রেশনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অনিয়ম-দুর্নীতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়লেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ রেশন গ্রাহককে মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল দিতে হলে মাসে প্রয়োজন প্রায় ৩.০২ লক্ষ টন চাল।
সেখানে এখনও পর্যন্ত এসেছে প্রায় ১.৮৯ লক্ষ টন চাল। তা সত্ত্বেও মে মাস থেকে এই চাল দেওয়া শুরু হবে। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে, সেই চাল তাড়াতাড়ি এসে যাবে বলে এফসিআই আশ্বাস দিয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এক মাসের স্টক হাতে পেলেই অতিরিক্ত চাল বণ্টনের কাজ শুরু হবে। ডালের প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাসে পরিবার পিছু এক কেজি করে দিতে হলে প্রয়োজন ১৪.৫৩ হাজার টন ডাল। সেখানে এসেছে মাত্র ১ হাজার ৮৩৪ টন। অনেক জেলায় একদানাও ডাল যায়নি