কলকাতার সঙ্গে এবার হাওড়ারও নাগরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে কেএমডিএ। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নগরোন্নয়ন দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেএমডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এইচআইটি)। এর ফলে হাওড়া সহ বৃত্তর কলকাতার পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব এখন কেএমডিএ-র হাতে।
এর কয়েক বছর আগেই কলকাতা ইমপ্রভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি) এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অন্ড স্ট্যানিটেশন অথরিটিকে (কেএমডব্লুএসএ)-কে কেএমডিএ-র সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এবার হাওড়ার নাগরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বও যুক্ত হল সংস্থাটির সঙ্গে।
হাওড়ার নগরোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে গঠিত হয় এইচআইটি। এর কাজ ছিল হাওড়া শহর ও তার সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে রূপায়ন করা। ১৯৬৫ সালে গঠিত হয় কেএমডব্লুএসএ। এর কাজ ছিল কলকাতার জল ও নিকাশী প্রকল্প নির্মাণ ও পরিকল্পনা। এর অনেক আগেই ১৯১১ সালে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় কেআইটি।
রাজ্য তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বৃহত্তর কলকাতার নগরোন্নয়নের জন্য পৃথক পৃথক সংস্থা না রেখে একটি সংস্থার অধীনেই সব কাজ করার পরিকল্পনা করে। এর আগে কেআইটি ও কেএমডব্লুএসএ-কে যুক্ত করা হয়েছে। এবার এইটআইটি-কেও যুক্ত করা হল।
এর ফলে কী সুবিধা
এই সংযুক্তকরণের ব্যাখ্যা নগরোন্নয়ন দফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওড়া বিভিন্ন এলাকায় নগরোন্নয়নের কাজে যুক্ত কেএমডিএ। তাই আলাদা করে দু’টি সংস্থার কাজ করার চেয়ে সংস্থা দুটির সংযুক্তকরণে সমন্বয় বাড়বে। ফলে কাজের সুবিধা হবে। কাজে গতিও বাড়বে।
দফতরের এই সিদ্ধন্তের ফলে এইচআইটির সমস্ত সম্পদ, দায়, দায়িত্ব সবই কেএমডিএ-র অধীনে থাকবে। কর্মী ও আধিকারিকরাও কেএমডি-র অধীনে কাজ করবেন। এর ফলে এইচআইটি বোর্ডেরও কোনও অস্বিত্ব থাকছে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তে নগরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন আরও দ্রুত হবে আশা হাওড়ার বাসিন্দাদের।