দোষ কবুল করেও ফোঁস করতে কসুর করলেন না টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২ নভেম্বর তিনি সংসদের এথিকস কমিটির সামনে হাজির দেবেন বলে জানিয়েও রাখলেন একগুচ্ছ দাবিদাওয়া। তুললেন একগুচ্ছ প্রশ্ন।
এথিকস কমিটির সভাপতি বিনোদ সোনকরকে লেখা চিঠিতে মহুয়া জানিয়েছেন, কমিটির সম্মান রক্ষার্থে ২ নভেম্বর হাজিরা দেবে তিনি। তবে তাঁর ব্যস্ততা রয়েছে জানানো সত্বেও কমিটি যে ভাবে চাপ তৈরি করছে তাতে তিনি বিস্মিত। সঙ্গে কেন ২ বছর কোনও বৈঠক না করলেও এথিকস কমিটি কেন এখন হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়েও। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের শাসকদল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মহুয়া এথিকস কমিটির চেয়ারম্যানকে লিখেছেন, কমিটির ফৌজদারি বিষয়ে তদন্ত করার অধিকার নেই। সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার সহযোগিতা নিতে হবে। এছাড়া, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় আনন্দ দেহদ্রাই ও ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি কিছু প্রশ্ন করতে চান বলেও জানিয়েছেন চিঠিতে। দাবি করেছেন, এথিকস কমিটির সামনে জয় মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি।
এছাড়া সংসদে দাঁড়িয়ে ঘৃণাভাষণ দেওয়ায় অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরির প্রতি এথিকস কমিটি সদয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মহুয়া লিখেছেন, গত ১০ অক্টোবর রমেশ বিদুরিকে হাজিরা দিতে বলেছিল এথিকস কমিটি। তিনি মৌখিকভাবে ব্যস্ততার করা জানালে তাঁকে আর হাজিরা দিতে বলেনি কমিটি। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা ও দামি উপহারের বিরুদ্ধে সংসদে হীরানন্দানি গোষ্ঠীর হয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ করেছেন সাংসদেরই প্রাক্তন প্রেমিক জয় আনন্দ দেহদ্রাই। এক স্বতঃপ্রণোদিত হলফনামায় সেই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি। দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি যে প্রশ্ন করার জন্য সংসদের পোর্টালের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন তা স্বীকার করেছেন মহুয়া।