১০ দিন ধরে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। অথচ তাঁর গোপন ডেরায় পৌঁছে সাক্ষাৎকার নিয়ে এসেছিল সংবাদমাধ্যম। গণধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শিবু হাজরা গ্রেফতার করল পুলিশ। শেখ শাহজাহানের ডেরা বলে পরিচিত ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে শনিবার বিকেলে শিবুকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবারও পোস্টার পড়েছিল সন্দেশখালিতে।
আরও পড়ুন: ছুড়ে ফেলা হয়নি, পড়ে গিয়েছে, ৭ দিন পর সন্দেশখালি গিয়ে বলল রাজ্য শিশু কমিশন
শনিবার আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা রুজু করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরই বসিরহাটের পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন কাউকে ছাড়া হবে না। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রজীব কুমার। তাঁর সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে জানা যায় গ্রেফতার হয়েছেন শিবু হাজরা।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাস পর জোড়া দফতর হারালেন বালু, কার হাতে গেল দায়িত্ব
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিলেন শিবু। তার লিজের টাকা শোধ করতেন না তিনি। উলটে তৃণমূলের বৈঠকের নাম করে রাত বিরেতে গ্রামের বধূদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনও নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেতেন শিবু। না যেতে চাইলে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন সাদা থান। অভিযোগ, শিবুর ডাকে মহিলারা হাজির হলে প্রথমে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। তার পর কয়েকজন সুশ্রী মহিলাকে থেকে যেতে বলতেন শিবু ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ওই মহিলাদের রাতভর লালসার শিকার করতেন শিবু।