নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতেই পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন বিজেপি নেতাদের মন্দির পরিষ্কার করার ধুম পড়ল জেলায় জেলায়। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো নেতারা তো বটেই, পাড়া পাড়ায় মন্দির পরিষ্কার করলেন বিজেপির ছোট – বড় – মেঝো নেতারা। আগামী ১ সপ্তাহ এই অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।
রবিবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় শিব মন্দির মপ হাতে পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। মন্দিরের দাওয়া পরিষ্কার করতে করতেই তিনি বলেন, ‘ও বাদ দেন, কিছু তো হিন্দু বিরোধী থাকবে। সে তো বিকাশ ভট্টাচার্য দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খেয়েছে। ও হিন্দু না কি? কিছু জালি হিন্দু আছে। ও সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। যো হিন্দু হিত মে কাম করেগা, ও বঙ্গাল মে রাজ করেগা’।
ভারতবর্ষকে হিন্দুদের জায়গা বলে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘৫০০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আমাদের ভগবান রামচন্দ্র ২২ তারিখে তাঁর জন্মগৃহে প্রবেশ করছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মকর সংক্রান্তিতে সমস্ত মন্দির ধৌত করা, সাফ সুতরো করার একটা বিশেষ ডাক দিয়েছিলেন। আমার নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় ১১১টি মন্দিরে এই মুহূ্র্তে একসঙ্গে এক যোগে হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকরা সাফাই করছেন। ভারতবর্ষ সনাতনীদের জায়গা। ভারতবর্ষকে হিন্দুস্তান বলা হয়। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গ মুনি ঋষিদের জায়গা’।
মুঘল শাসনে ৩ লক্ষ হিন্দু খুন হয়েছেন বলে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সবাই খুব এক্সাইটেড। ৫০০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ৩ লক্ষ হিন্দু শহিদ হয়েছে। ৩ লক্ষ হিন্দুকে খুন করেছে এই মোগলরা। যেদিন রাম জন্মভূমি বাবর দখল করেছিল সেই একদিনে হানাদাররা ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দু খুন হয়েছিল’।
এদিন ঝাড়ু হাতে মন্দির পরিষ্কার করতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনিও রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তবে ধর্মাচরণের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়াতে নারাজ সুকান্তবাবু।
এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে বিজেপি নেতাদের মন্দির পরিষ্কার করার ধুম দেখা যায়। যাকে কটাক্ষ করেছে বাম ও তৃণমূল। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজনীতির মধ্যে ধর্মকে ঢুকিয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন থেকে প্রচারের অভিমুখ ঘোরাতে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।’