বিধানসভা ভোটের পর ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন দলের একাধিক নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক। ভোটের আগে তাঁরা কোনো না কোনো অজুহাতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে ভোলবদলকারী নেতৃত্বকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে উভয় শিবিরই।
ভোটে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পরই ভোলবদল করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। প্রাক্তন ফুটবলারের কাছ থেকে পাস নিয়ে এ বার দল ছাড়ার হিড়িক গেরুয়া শিবিরে। গতকাল ই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে সোনালী গুহ, খোলা চিথি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন মমতা ব্যনার্জির কাছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি ছেড়েছেন দুই নেতা। দাঁতনে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিৎ মল্লিক এবং দাঁতন কিসান মোর্চার সভাপতি বিকাশ দাস। শুক্রবার দু’জনেই তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতির কাছে। নারদে গ্রেফতারির প্রতিবাদে দলত্যাগ করেছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুরপতি ভূষণ সিংহ। ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
বিপুল ভোটে জেতার পরেই কালীঘাটে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা, সেখানে ‘দলবদলু’দের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, “আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত”।
কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে তৃণমূলের অনেকেই, বিশেষত নীচুতলার কর্মীরা ‘দলবদলু’দের ফেরাতে নারাজ। তাঁদের দাবি, “এঁদের একদম নেওয়া উচিত নয়। এঁরা সুযোগসন্ধানী, ধান্ধাবাজ”।
এ ব্যাপারে তৃণমূল এক রাজ্য নেতা বলেন, “কেউ ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এঁদের ছাড়াই তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছে। যাঁদের জন্য ফেরা, সেই কর্মীদের মতামতকে অবশ্যই সম্মান জানানো হবে”।
অন্যদিকে, ভোটের আগে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেওয়া একের পর এক প্রাক্তন বিধায়ক, নেতা পদত্যাগ করতে চাইছেন। এর কতটা প্রভাব পড়বে গেরুয়া শিবিরে?
এক বিজেপি নেতা বলেন, রাজনীতিটা কোনো মান অভিমানের জায়গা নয়। অনেক কেঁদে ছিলেন উনি। আর আজ বলছেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। এটা মান-অভিমানের ব্যাপার। রাজনীতির নয়। সুবিধাভোগী মানুষ যত দল ছেড়ে যাবে দলের ক্ষেত্রে ভালো।