পূর্ব মেদিনীপুরের পাশকুড়ায় সমবায় সমিতি নির্বাচনে বাম-বিজেপি জোটকে হারিয়ে জয়ী হল তৃণমূল। পুলশিটা পল্লীশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ১২ টি আসনের মধ্যে সবকটি আসনে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। অন্য দিকে জোট গড়ে লড়াই করে বাম-বিজেপি। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় রবিবার ভোট হয়। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। জয়ের পর আবীর খেলায় মেতে ওঠে ঘাসফুল শিবির।
কৃষি সমবায় সমিতির ৫টি আসন গিয়েছে বিজেপি-সিপিএম জোটের দখলে। জয়ের পর সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। জিতে স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। অন্য দিকে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে বিজেপিও। স্লোগানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে হিমশিম খেতে হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে। তৃণমূলের বিজয় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকে ঠেলেই মিছিলে এগিয়ে যায়।
পড়ুন। এবার বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশ! লোকসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ইভেন্ট
পুলশিটা পল্লীশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে এই জয়কে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে শাসকদল। পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজিত রায় সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিপিএম ও বিজেপি জোট করে লড়াই করছিল, অন্যদিকে ১২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করেছে। তৃণমূলের ৭জন জয়ী হয়েছে। বোর্ড তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায় দখল করেছে। সিপিএম ও বিজেপির জোট পেয়েছে ৫টা আসন। পঞ্চায়েত ভোটে হাউড় পঞ্চায়েত বিজেপিকে দিলেও সমবায় ভোটে তাদের প্রত্যাঘাত করেছে।
পড়ুন। কমিশনের অপেক্ষা না করে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিলেন বীরভূমের BJP নেতা
তবে বাম-বিজেপি জোট হয়েছে তা মানতে নারাজ সিপিএম। স্থানীয় সিপিএম নেতা নিতাই সান্নিগ্রাহী সংবাদমাধ্যমকে বলেন,’সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি। ৮টিতে প্রার্থী দিয়েছিলাম। তার মধ্যে ২ আসনে আমাদের প্রার্থী জিতেছেন। শাসকদল সমস্ত নির্বাচনে রাম-বাম জোট খাড়া করে বামপন্থীদের খাটো করার চেষ্টা করে। এবারও তাই করছে। রাম-বামের নীতিতে আকাশ পাতাল ফারাক।’
বিজেপির অভিযোগ, এই সমিতিতে বেছে বেছে তৃণমূলকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি চাষীদের সদস্যপদ দেওয়া হয়নি। তাই তারা জয়ী হয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। তাদের দাবি, সিপিএম আমল থেকে যত সদস্য রয়েছে এখনো ততই সদস্য রয়েছে। বিজেপি ভোটে হেরে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনছে