তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সল্টলেকের শান্তিনগর। দু’পক্ষের মধ্যে চলল দেদার ইঁটবৃষ্টি। কিছুক্ষণ আগেই এখানে এসে পৌঁছন সব্যসাচী দত্ত। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। এখানে বিজেপি’র কর্মী সমর্থকদের ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল সকাল থেকেই। সব্যসাচী দত্ত এখানে আসার পর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। তার পরেই শুরু হয় ইঁট বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই সিপি’র কাছে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি প্রার্থী। তবে এখনও লাগাতার ব্যাপকভাবে ইঁট ছোড়াছুড়ি চলছে। রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইঁট। একে অপরের দিকে তেড়ে আসে দু’পক্ষ। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এখানেও দেখা যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গোটা রাস্তা ইঁটে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরও এত বিশৃঙ্খলা কেন? কোথায় গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী? বলা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নামমাত্র নেই সল্টলেকে। শুধুমাত্র সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে থাকা ফোর্সই উপস্থিত রয়েছে সেখানে। বাকি কোনও বাহিনী নজরে আসেনি। এরিয়া ডমিনেশন করতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের দিকেও আঙুল উঠছে। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গাইড করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। কিউআরটি বাহিনীকেও দেখা যায়নি। পুলিশের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। এদিকে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। চলছে ব্যাপক হাতাহাতি। রয়েছেন মহিলারাও। রাস্তায় ফেলে মারা হচ্ছে একে অপরকে। পরে অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু।