রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসরের দিন ৩১ মে। ওই দিনই নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে আলাপনকে যোগ দিতে বলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করা হলেও রাজ্য সরকার এত সহজে তা মেনে নেবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
তবে কয়েকদিন আগেই আলাপনের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন মমতা। এই ঘোষণার কয়েক দিন পরই আলাপনের বদলির চিঠি এসেছে। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে।
রাজ্যের প্রাক্তন আমলাদের একাংশের দাবি, চাকরির শেষ দিনে আলাপনকে এ ভাবে বদলির নির্দেশ আদতে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসা মূলক’। এখন সব থেকে বড়ো প্রশ্নটি হল, মুখ্যসচিবকে দিল্লির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য নবান্ন ছাড়পত্র দেবে কি না? শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট হতে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছিল বিজেপি । বর্তমানে ফল হয়েছে একেবারেই অন্যরকম। বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ফের বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল (। আর এই ফলাফলকেই মানতে না পারায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে বলেই অভিযোগ কুণাল ঘোষের । তিনি বলেন, “বাংলার সরকার এবং মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যও প্রায় একইরকম। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভোটে হারার ফলে ‘নোংরামি’ করছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে শুধু তৃণমূলই নয়, বামেরাও আলাপনের বদলির নির্দেশের বিরোধিতা করেছে। মোদি সরকার আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে বলেই অভিযোগ তাঁদের।