ঘূর্ণিঝড় যশে বা ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। কপ্টারে চেপে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে আজই কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, যখন আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সামলানোর চেষ্টা করছি, যখন মানুষ কীভাবে জল পাবে তা দেখতে ব্যস্ত ছিলাম তখন দিল্লিতে আমাকে দুর্নাম করতে ব্যস্ত ছিল।”
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতার অভিযোগ, “আমাকে সবসময় অপমান করা হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, “বাংলার প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর পায়েও পড়তে পারি। কিন্তু এভাবে অপমান করবেন না।”
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে ঠিক কী জটিলতা তৈরি হয়েছিল? সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”যশ বিধ্বস্ত এলাকায় আমার পরিদর্শনের সূচি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী আচমকা নিজের সূচি ঘোষণা করেন। উনি অন্য রাজ্য সফরে গিয়েছিলেন। আমার রাজ্যে এসেছিলেন বিমান ধরার জন্য। কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের কথা বলা হয়। আমাদের অনেক জায়গা ঘোরার ছিল। হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, সাগর, দিঘা। মাঝে কলাইকুন্ডা যাওয়া কঠিন ছিল। তবু উনি আসছেন, তাই দেখা করতে, আলোচনা করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সাগরে গিয়ে শুনি, ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে ওঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য। রাস্তায় আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমি সফর কাটছাঁট করে দেখা করি। কিন্তু উনি কলাইকুন্ডায় আগেই পৌঁছে গেছিলেন। সেখানে গিয়ে এসপিজিকে ১০ মিনিট পর বলি, দেখা করতে দেওয়া হোক। ১ মিনিটের জন্য সময় চাই রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। এসপিজি জানান, ১ ঘণ্টা বাদে উনি কথা বলতে পারবেন। আমরা তারপরও অপেক্ষা করি। শুনলাম, কনফারেন্স রুমে বৈঠক করছিলেন। আমি ও আমার মুখ্যসচিব সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপির নেতা, বিরোধী দলনেতা রয়েছেন। তাও বলি, ঠিক আছে, পরে আমরা দেখা করব। বলি, আমাদের দিঘা যেতে হবে, আবহাওয়া ভাল না। আমরা এতগুলো জায়গায় ঘুরেছি, তারপর এখানে আসা কঠিন ছিল। এটুকু বলে আমি রিপোর্ট দিই। অনুমতি নিয়ে জানতে চাই, দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক আছে, আমি কি যেতে পারি। অনুমতি নিয়েই গিয়েছি। তাহলে বলা হচ্ছে কেন যে বৈঠক আমি এড়িয়ে গিয়েছি?”