মে মাসের ৫ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। ভ্যাকসিনের ডোজে যাতে কমতি না হয় তার জন্য কলকাতায় কোভিশিল্ড টিকার ১০ লক্ষ ডোজ এসে পৌঁছেছে। তবে পুরোটাই রাজ্যের জন্য নয়। জানা গিয়েছে, দশ লক্ষ ডোজের চার লক্ষ পাবে বাংলা। বাকি ছয় লক্ষ সংরক্ষণ করে রাখা হবে। চাহিদা মতো অন্যান্য রাজ্যগুলিকে পাঠানো হবে। সূত্রের খবর, বাংলায় এখন যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত আছে তা আগামী দিনে চাহিদাকে ছাপিয়ে যাবে।
প্রতিদিনই জেলায় জেলায় টিকার ভায়াল পাঠাতে হচ্ছে। সঞ্চিত ভাঁড়ার প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এপ্রিলের ১২ তারিখে কোভিশিল্ড টিকার চার লক্ষ ডোজ এসেছিল কলকাতায়। সেগুলো প্রয়োজন মতো বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন ভায়ালের চার লক্ষ বিতরণ করা হবে। বাকিটা হেস্টিংসের সেন্ট্রাল স্টোরে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। রাজ্য সরকার দুদিন আগেই নয়া নির্দেশিকায় বলেছিল, সরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকা বিনামূল্যেই দেওয়া হবে, কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে ভ্যাকসিন সরাসরি উত্পাদন সংস্থার থেকে কিনতে হবে।
৩০ এপ্রিলের পর টিকার পুরনো স্টক ফেরত দিয়ে নতুন করে ভায়াল কিনতে হবে। নতুন দামেই টিকা নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। কোভিশিল্ড টিকার নির্মাতা সংস্থা পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট আগে বলেছিল কোভিশিল্ড টিকা ডোজ প্রতি রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হবে, বেসরকারি ক্ষেত্রে দাম পড়বে ডোজ প্রতি ৬০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় টিকার ডোজ বিক্রি করা হবে। কিন্তু কোভিশিল্ড টিকার দাম নিয়ে আপত্তি ওঠায় সম্প্রতি সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে ৩০০ টাকা দরে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ বিক্রি করা হবে। মানবিক কারণে কোভিশিল্ডের ডোজ পিছু ১০০ টাকা করে কম নেওয়া হবে।