Motivational Story: একসময় ঠিকমতো খাবার জুটত না। পেট ভরা ভাত না থাকলেও স্বপ্ন ছিল দুচোখ ভরা। আজ সেই চাষী পরিবারের ছেলের কাছে রয়েছে ১০০ কোটির হেলিকপ্টার। বলা হচ্ছে শিল্পপতি রবি পিল্লাইয়ের কথা। এনার নাম হয়ত আপনি এর আগেও শুনেছেন। ভারতে যত সাফল্য ব্যবসায়ী রয়েছেন, তাদের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে এই ব্যক্তির নাম। যাঁর উত্থান পর্ব জানলে অবাক হতে হয়। এই কাহিনী হার মানাবে রূপকথাকেও। চাষী পরিবারের ছেলে আজ সৌদি আরবে তৈরি করেছেন নিজের সংস্থা।
রবি পিল্লাই আরপি গ্রুপের চেয়ারম্যান। বড় হয়েছেেন সাধারণ এক কৃষক পরিবারে। ছোট থেকেই তিলে তিলে বোনা স্বপ্নগুলোর সিঁড়ি বানিয়েছেন হাড়ভাঙা পরিশ্রমকে। সাফল্যের মূল চাবিকাঠি যে কঠোর পরিশ্রম, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। পরিশ্রম করলে ভাগ্যও সাথে থাকে। রবি পিল্লাই ভারতের শিল্পপ্রতিদের মধ্যে প্রথম, যিনি ফরাসি সংস্থা এয়ারবাসের এইচ১৪৫ হেলিকপ্টার কিনেছেন। বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে তাঁর সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭০ হাজারের বেশি কর্মী। গত বছর ১০০ কোটি টাকা খরচ করে কিনেছেন ব্যক্তিগত কপ্টার। বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সাতাশ হাজার কোটি টাকা।
ছোটবেলা কেটেছে তীব্র অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে। প্রায় সময় দুবেলা পেট ভরে খাবার পর্যন্ত জুটত না। বড় হয়েছেন কেরালার কোল্লাম জেলার চাভারা গ্রামে। চরম দারিদ্রতা থাকলেও পড়াশুনা থামাননি। স্থানীয় কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেই ভর্তি হন বিশ্ববিদ্যালয়ে, পড়াশোনা করেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে। জানলে আশ্চর্য হবেন, একসময় মহাজনের কাছ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে চিট ফান্ড কোম্পানি করেছিলেন। কিন্তু সেটা বেশিদিন চালিয়ে রাখেননি। যখনই দেখলেন, প্রচুর লাভ হচ্ছে, তখনই সেই টাকা দিয়ে ঋণের টাকা মেটান। তারপর বন্ধ করে দেন চিটফান্ড কোম্পানি। শুরু করেন নির্মাণ ব্যবসা। তারপর ১৯৭৮ সাল নাগাদ পাড়ি দেন সৌদি আরবে। সেখানে প্রথমে মাত্র ১৫৫ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু করেন নিজের সংস্থা। তাও আবার সৌদি আরবের মাটিতে। এটা কিন্তু কম বড় কথা ছিল না। তারপর থেকেই তিনি পরিশ্রম করে গেছেন, আর লাভ গুনেছেন। ব্যবসা দ্বিগুণ থেকে চার গুণ হতে বেশি সময় লাগেনি। একের পর এক তৈরি করেছেন ঝাঁ চকচকে হোটেল থেকে শুরু করে প্রচুর শপিং মল। পাশাপাশি ইস্পাত, লোহা, সিমেন্টের ব্যবসাতেও তিনি বেশ সফল। ব্যক্তি মানুষ হিসেবেও রবি পিল্লাইকে মনে রাখার মত। কেরালায় তিনি ৩০০ টি বেডের একটি হাসপাতাল পরিচালনা করেন। ২০১০ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়