।। ।।
Kailash Vijayvargiya: বাংলায় উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় একুশের বিধানসভায় অনেক খারাপ ফলাফল হয়েছে বিজেপির। পরবর্তীতে ২০২৩ এ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়ে লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছে বিজেপি। প্রথম থেকেই ফলাফলের যা ট্রেন্ড ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে ছত্তিশগড় আর রাজস্থানে ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশের ইনদৌর-১ নম্বর আসন থেকে এবার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে পাশ করেছেন কৈলাস। একুশের নির্বাচনের আগেই বাংলার দায়িত্বে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন জয়ের পর থেকেই যেভাবে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে তিনি দলে ঢুকিয়েছেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার পর সাংগঠনিক একটা রদবদলের সময় পদ খোয়াতে হয় কৈলাসকে।
ইনদৌর-১ বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি এবং সেখানে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হয়। বাংলায় তাঁর সেইভাবে জায়গা না থাকলেও রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে গেলে এই যুদ্ধ জিততেই হত। মধ্য প্রদেশে বিজেপির জেতার পক্ষেই হাওয়া ছিল না। কারণ উক্ত এলাকা বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। অবশেষে সেখানে মিরাক্কেল ঘটিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। জেতার পরে যেখানে সাধারণ মানুষকে তাঁর উপর ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন এই নেতা। কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, টাফ ফাইটের পর কোনওভাবে কৈলাসের পুরস্কার বাংলার দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন হবে না তো?
বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির জন্য অনেকেই দোষারপ করেছিলেন কৈলাসকেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশে দাবি এরপরেই দলেও কোণঠাসা হতে শুরু করেন তিনি। তারপরে ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্য প্রদেশের ইনদৌর-১ থেকে তাঁকে প্রার্থী করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয় , প্রথমে কৈলাস চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে টিকিট পাক, কিন্তু দল তাঁকেই টিকিট দিয়ে নির্বাচনের ময়দানে বাজিমাত করতে পাঠান। শেষমেষ সেমিফাইনাল ম্যচে ভালোমতোই জয়লাভ করেছেন তিনি। এককথায় বলা ভালো, অস্তিত্বের লড়াইতে সসম্মানে পাশ বিজেপির কৈলাস।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়